, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


রমজানে খাবারের অপচয় না করার আহ্বান সৌদির

  • আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৪ ০৩:২২:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৪ ০৩:২২:২৮ অপরাহ্ন
রমজানে খাবারের অপচয় না করার আহ্বান সৌদির
এবার রমজান মাস শুধু সংযম আর আত্মশুদ্ধির মাসই নয়, এটি মন ও শরীরকে সতেজও করে তুলতে পারে। টানা একমাস রোজার এই সময়টাতে সারা বিশ্বের মুসলমানরা সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন। আর তাই এই মাসে খাবার অপচয়ের মতো অভ্যাস গড়ে ওঠার আশঙ্কাও থাকে। আর বিশ্বে খাবার অপচয় বা নষ্ট করার দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।

এর কারণে চলমান রমজান মাসে জনসাধারণকে খাবারের অপচয় এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নষ্ট হওয়া মাংসের পরিমাণ কমাতে পবিত্র রমজান মাসে যখন লোকেরা ইফতার করেন তখন তাদের ‘যৌক্তিক আচরণ’ করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, রমজান মাসে প্রচুর পরিমাণে মাংস আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সেই বর্জ্য কৃষিখাতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

এদিকে গবেষণায় দেখা গেছে, সৌদি আরবের একজন ব্যক্তি গড়ে প্রতি বছর ১৮৪ কেজির বেশি খাবার অপচয় করে, যার পরিমাণ দেশব্যাপী প্রায় ৪০ লাখ টন। অপচয়কৃত খাবারের বার্ষিক মূল্যমান ৪০ বিলিয়নের বেশি সৌদি রিয়াল বা ১০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম প্রধান কারণ খাদ্য অপচয় সম্পর্কে জনসচেতনতা কমে যাওয়া।

মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সৌদি আরবে প্রতি বছর ৪ লাখ ৪৪ হাজার টন মুরগির মাংস, ২২ হাজার টন ভেড়ার মাংস, ১৩ হাজার টন উটের মাংস, ৬৯ হাজার টন মাছ এবং ৪১ হাজার টন অন্যান্য ধরনের মাংস নষ্ট হয়।

আর এই কারণে কর্মকর্তারা সৌদির জনসাধারণকে মাংসের বর্জ্য হ্রাস করার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আরও যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতি গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা খাবার কেনার আগে সঠিক পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি কত লোককে খাওয়াতে হবে তা বিবেচনায় নিয়ে এবং একটি আইটেমে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার পরিবেশন না করার বিষয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া পরবর্তীতে খাবার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অবশিষ্টাংশ সংরক্ষণ করার বা অখাদ্য খাবার দান করার সুপারিশও করা হয়েছে।

এদিকে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, খাদ্য বর্জ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে এবং আরও টেকসই ভোক্তা আচরণ নিশ্চিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করার জন্য তারা বেশ কয়েকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। 
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া